“Say: He is God* the One and Only; God the Eternal Absolute; He begetteth not nor is He begotten; And there is none like unto Him.” Holy Quran; Surah 112; Verses 1-4
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম
মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরেই মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে গোসল করাতে হয় তার সঠিক নিয়ম জানা দরকার। মৃতের গোসল, কাফন, জানাযার ছালাত এবং দাফন করা ফরযে কেফায়া। তাই অতিগুরুত্বপুর্ণ এই কাজটি সম্পর্কে মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার।
ভাওয়াল রাজা
সিয়ামের সুন্নাত সমূহ
সিয়াম পালনের কিছু সুন্নাত আছে যেগুলো পালন করলে সাওয়াব বেড়ে যাবে। আর তা ছেড়ে দিলে রোযা ভঙ্গ হবে না বা গোনাহও হবে না। তবে পুণ্যে ঘাটতি হবে। কিন্তু তা আদায় করলে সওয়াবের পরিপূর্ণতা আসে। নিম্নে এসব উল্লেখ করা হল:
শিরক আসল কিভাবে?
আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি জিন ও মানব জাতিকে আমার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)
আল্লাহ কোথায়?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের সকল ইমামের অন্যতম আকীদা হচ্ছে মহান আল্লাহ আরশে আযীমে সমুন্নত। সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনগণ এই আকীদাই পোষণ করতেন। কুরআনের সাতটি স্থানে আল্লাহ তাআ’লা উল্লেখ করেছেন যে তিনি আরশে আযীমের উপর সমুন্নত।
কবরের আযাব
হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুল সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়ই তার সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করতেন যে, তোমাদের মাঝে কেউ কি কোনো স্বপ্ন দেখেছ? একদিন সকালে তিনি নিজেই বলতে লাগলেন যে, আজ রাতে আমার নিকট দুজন লোক এল এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে নিয়ে গেল। যাওয়ার পথে আমরা শায়িত একটি লোকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। এই শায়িত লোকটির মাথা অপর একটি লোক পাথর দিয়ে কেচতেছিল। পাথর মারার পর মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পাথরটি দূরে ছিটকে পড়ছে। পুনরায় মারার জন্যে লোকটি পাথর সংগ্রহ করতে গেলে এই ফাকে মাথা পুনর্জন্ম নিয়ে নেয় এবং ঐ লোকটি ফিরে এসে আবার পাথর মারে। এভাবে অনবরত চলছে।
আমি আমার সাথীকে বললাম, সুবহানাল্লাহ! এই দুজন ব্যক্তি কে? আমার সাথী বলল, আরো সামনে অগ্রসর হও।
মৃত্যুর প্রস্তুতি
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর রেওয়ায়েতে রাসুল সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হে মানব সম্প্রদায় ! সুখ বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো। [তিরমিযি, নাসায়ী, ইবন মাজাহ]
ঈমানের জোর
আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগের কথা। তখন মানুষ আল্লাহর নবীদের কথা মেনে চলতো। মানুষ সত্য কথা বলতো। ওয়াদা পালন করতো। বনি ইসরাইলে এমনি এক লোক বাস করতো। নাম রুবায়া। সে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতো আর বন্দরে বন্দরে ব্যবসা করতো। একবার বাণিজ্যে যাবার আগে কিছৃু স্বর্ণমুদ্রার টান পড়লো। ভেবে দেখলো কারো কাছ থেকে ধার নেয়া ছাড়া গতি নেই। তখনি তার মনে পড়লো উদার হৃদয় সোলায়মানের কথা। পরদিন সকালে সোলায়মানের বাড়ি গিয়ে হাজির হলো। সালাম বিনিময়ের পর সোলায়মান তার আগমনের কারন জানতে চাইলেন। রুবায়া বলল, ‘বাণিজ্যে যাচ্ছি, মালামাল কেনার জন্য কিছু স্বর্ণমুদ্রা ধার দেন তবে এক বছর পর তা শোধ করে দেবো।’ সোলায়মান বললেন, ’ধার দিতে সমস্যা নেই, তবে জামিনদার দরকার।’ রুবায়া বলল, ’আমার জামিনের জন্য একমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট।’ রুবায়া যেমন পাক্কা ঈমানদার, সোলায়মানও তাই। রুবায়ার কথা শুনে বললেন, ’আপনি ঠিকই বলেছনে, আল্লাহই যথেষ্ট।’ এ কথা বলে রুবায়াকে সোলায়মান এক হজার স্বর্ণমুদ্রা ধার দিল।
ঈদে মিলাদুন্নবি কিভাবে এল?
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। সালাম মহান রাসূল, আল্লাহর হাবীব ও মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদ সোয়াল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও সঙ্গীদের উপর। আজকের বিশ্বে মুসলিম উম্মার অন্যতম উৎসবের দিন হচ্ছে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’। সারা বিশ্বের বহু মুসলিম অত্যন্ত জাঁকজমক, ভক্তি ও মর্যাদার সাথে আরবী বৎসরের ৩য় মাস রবিউল আউআল মাসের ১২ তারিখে এই ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ বা নবীর জন্মের ঈদ পালন করেন। কিন্তু অধিকাংশ মুসলিমই এই ‘ঈদের’ উৎপত্তি ও বিকাশের ইতিহাসের সাথে পরিচিত নন। যে সকল ব্যক্তিত্ব এই উৎসব মুসলিম উম্মার মধ্যে প্রচলন করেছিলেন তাঁদের পরিচয়ও আমাদের অধিকাংশের অজানা রয়েছে। এই নিবন্ধে আমি উপরোক্ত বিষয়গুলি আলোচনার চেষ্টা করব।